Description
তরুণ বিতান সাহিত্যকে ‘করে খাওয়া’-র একটি উপায় ভাবেনি। বরং সে এক সন্ধানী। সে মার-খাওয়া চরিত্রদের পিছু ধাওয়া করে তাদের অন্তর জানতে চেয়েছে। তার গল্পগুলিতে হাততালি পাওয়া নাটকীয়তা নেই। বরং আছে মৃদু স্বপ্ন, থাপ্পড় দেওয়া বাস্তব। অল্প কিছু মানুষকে ভোগের আনন্দ দিতে গিয়ে অধিকাংশ মানুষকে তুচ্ছ জ্ঞান করা এই সমাজে কীভাবে বেঁচে থাকা শুরু করবে নতুন প্রজন্ম, তারই অন্বেষণ এই গল্পগ্রন্থে। ভাষায় জটিল চাতুরি নেই, আছে অনিশ্চিত কবিতার আয়োজন, ফলে গল্পগুলি ফুরিয়ে যায় না, পাঠকের অভিজ্ঞতার মধ্যে পুনর্নির্মিত হয়। যদি প্রশ্ন হয়, বিতানের গল্পগুলি কি সার্থক? আমি বলব, বিতান সার্থক। সে মুগ্ধতা চায়নি পাঠকের কাছে, চেয়েছে সমর্থন। দুঃখী চরিত্রদের হয়ে তার লড়াইকে আমি সমর্থন করছি — বিভাস রায়চৌধুরী
Additional information
Weight | 0.45 kg |
---|---|
Dimensions | 22 × 0.2 × 14 in |
Binding | |
Author | |
Edition | |
Language | |
ISBN | |
Page Count | |
Amazon.com | http://www.amazon.com/Santiram-er-Cha-Bengali-Bitan-Chakraborty/dp/9385783572/ref=sr_1_2?ie=UTF8&qid=1477036795&sr=8-2&keywords=bitan+chakraborty |
Press Reviews
বিতানের বিশিষ্টতা এখানেই। সহজ কথা সহজ ভাবে বলা এবং তার মধ্যে মিশে থাকে তির্যক প্রশ্ন যা জীবন সম্পর্কে আমাদের ভাবায়। আপাত নিষ্প্রভ সমাজের এক শ্রেণির মানুষের ব্যক্তিগত, পরিবারগত, সমাজ, বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ সংকট এবং বেঁচে থাকার ন্যূনতম অধিকারের জন্য লড়াই। চরিত্র, সমাজ, আখ্যান, নির্মাণে বিতান একেবারেই আলাদা লেখক — আনন্দবাজার পত্রিকা
আলাদা স্বাদ, আলাদা গন্ধ, আলাদা অনুভূতির আঁচ। এ যেন তামাম মানব্জাতির খণ্ডজীবনের আদিগন্ত চালচিত্র – আজকাল
ইংলিশ-ভিংলিশ ছবিটি মনে পড়ে? বলা হয়, দীর্ঘ স্বেচ্ছা-নির্বাসন শেষে অভিনেত্রী শ্রীদেবীর কাম-ব্যাক ফিল্ম। এক ভারতীয় নারী ইংরেজি ভাষায় রপ্ত না হলে তাঁর কর্পোরেট সংস্কৃতি-লালিত পরিবারের কাছে লাঞ্ছিত হন, দেশ এবং বিদেশের মাটিতে, এ ছবি তারই আলেখ্য। মূল চরিত্রে একজন নারী। হোম মেকার। যদিও ঘরে থেকেই নিজের পছন্দের কাজ করে উপার্জন করেন তিনি। আমি চাই বিতানের বোগেনভিলিয়া গল্পটি অন্য কোনো ভাষায় অনূদিত হোক। বিশেষত ইংরেজিতে। টু বি প্রিসাইস, আমেরিকান ইংলিশে। এই গল্পে একটি শিক্ষিত, বেকার যুবক সময়ের দাবীকে মেনে নিচ্ছে; তার আজন্মলালিত বিশ্বাসের কাছে হার মেনে বেঁচে থাকার চেষ্টায় মরিয়া। ইংরেজিতে কথা না-বলতে-পারা আজও খামতি হিসেবেই ধরে নেওয়া হয় আমাদের রাজ্যে, পশ্চিমবঙ্গে। বেকারত্বের দংশন, অনিবার্য প্রেম-বিচ্ছেদ, আর ঘরে ফেরার মুখে কাঁটা-ঝোপের ঝাঁঝালো আদর— এসব মিলেমিশে এই গল্পটি রোজগেরে-পুরুষ অধ্যুষিত সমজাকে আরও একবার মুখোমুখি দাঁড় করায় একটি অবশ্যম্ভাবী পরিস্থিতির দোরগোড়ায়— ‘আমি আমার সোসাইটিতে বলতে পারব না যে আমার বর বেকার।’ একজন ফেমিনিস্ট এই গল্পটিকে কীভাবে নেবেন, জানতে ইচ্ছে করে। একজন পুরুষ কি জন্মসূত্রেই রোজগেরে হওয়ার স্বাভাবিক এবং প্রাকৃতিক অঙ্গীকারে আবদ্ধ? — বাংলা ট্রিবিউন সম্পূর্ণ আলোচনা পড়ুন।
Raktim Bhattacharyya –
very good collection of stories relevant to our contemporary society