Description
“গোয়েন্দা বা রহস্যোপন্যাস নয়, বরং ডাকতে চাইব অপরাধ সাহিত্য, এই নামে।” “মূল কাহিনিটি হয়তো সাড়ে-তিন লাইনে বলে ফেলা সম্ভব। কিন্তু একমাত্র ভাষাই তাকে বিশেষ করে তোলে। জীবনকে যেভাবে শাসন করে তার যাপন। জলকে যেভাবে বহমানতা দেয় তার স্রোতগুণ। গল্পকে এখানে ডমিনেট করছে তার গদ্য।”—‘মরণ অন্তরালে’-র শুরুতেই এ হল লেখক অর্জুন বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বকীয় উচ্চারণ। ব্যতিক্রমী অবশ্যই। কারণ আমরা তো ধরেই নিয়েছিলাম এই বইটি আসলে এক গোয়েন্দা কাহিনিই। যেখানে গোড়ায় থাকবে একটি অপরাধ। যেটা হয়ে গেছে। এবং তার পিছু পিছু থাকবেন গোয়েন্দা। যিনি রহস্য উন্মোচনের সংকল্পে নিজেকে নিয়োজিত করেছেন। একটু একটু করে সেই অপরাধ-রহস্যের পর্দা খুলবে। আমরা, তার পাঠকরা, অধীর উত্তেজনায় ছটফট করব। জট যত খুলবে ততই সুখ হবে আমাদের। এক রকম আমোদই বলা যায় তাকে। আর শেষ অবধি যখন রহস্যের মোড়ক সম্পূর্ণ খুলে যাবে আমরা জিভ চাটব, আত্মপ্রসাদের। কিন্তু না, ‘মরণ অন্তরালে’র লেখক আমাদের এই চেনা রাস্তায় হাঁটতে দিলেন না। গোয়েন্দা গল্পের এই প্রচলিত ফরমুলার বাইরে গিয়ে তিনি আমাদের দাঁড় করিয়ে দিলেন কয়েকটি জরুরি প্রশ্নের সামনে। কাকে বলে অপরাধ? কে অপরাধী? কি করে বুঝব কোনটা অপরাধ আর কোনটা নয়?
একটু লক্ষ্য করলেই বোঝা যায় প্রশ্নগুলির অভিমুখ আসলে এই সময়, এই সমাজ, এই সভ্যতার দিকে ফেরানো। এক বৃহত্তর মানবসমাজের দিকেই আসলে তারা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছে। বিতর্কটা অবশ্য নতুন নয়। শিল্প, সাহিত্য, সমাজবিজ্ঞানে, এই প্রশ্ন ঘুরে ফিরেই এসেছে। প্রসঙ্গত আমাদের দস্তয়ভস্কি’র ‘ক্রাইম অ্যান্ড পানিশমেন্ট’-এর কথা মনে পড়ে যাবে। কিন্তু সে উপন্যাসে অনেক চরিত্র, তাঁদের টানাপোড়েন, সম্পর্কের ওঠাপড়া, চোরাটান, এই সবকিছুর মধ্যে দিয়ে অপরাধ ও অপরাধীর সংজ্ঞা বুঝে নেয়ার চেষ্টা চলছে। অর্জুন সে-পথে যান না। অর্জুন শুধু তার ন্যারেটিভের চলনে, তার গতির ওঠানামার মধ্যে দিয়ে এক-একবার সেই অপরাধের ঘটনার কাছাকাছি টেনে নিয়ে যান আমাদের; আর তারপরেই আবার সেই ভাষার নতুন বাঁক নেয়ার মধ্যে দিয়ে আমাদের দূরে ঠেলে দেন। ‘মরণ অন্তরালে’ পড়তে পড়তে আমাদের মনে হয় যেন এই অপরাধের ঘটনা আর তার রহস্য উদ্ঘাটনের মধ্যে আমরা নিজেরাও কখন যেন জড়িয়ে পড়েছি। এখানেই লেখকের মুনশিয়ানা। তিনি অনায়াসে বলতে পারেন, “খুন না করেও আমি খুন করার প্লেজার নিতে পারি। বাইরে কোনো রক্তের চিহ্ণমাত্র না রেখে আমি মাথার ভেতরে একের পর এক খুন করে যেতে পারি। এবং সেটা সেন্সরবোর্ড, পুলিশ, আইন, রাষ্ট্র, সিসিটিভি সবার আওতার বাইরে।” একই সাথে নিজেকে খুনি এবং নিহত রূপে চিনে নেওয়া, এই হল আমাদের সময়ের স্মারকচিহ্ন। উত্তরাধুনিক সময়ের এই ডেস্টিনির হাত ছাড়িয়ে আমরা কেউ পালিয়ে যেতে পারি না। পালাবার রাস্তাও জানা নেই। বিচ্ছিন্ন এক সময়ে দাঁড়িয়ে আমরা নিজেরাই খুন করি, নিজেরাই নিহত হই, আবার নিজেরাই সমাজ আর রাষ্ট্রের নজরদারী থেকে নিজেদের আড়াল কররবার ব্যর্থ চেষ্টা করতে থাকি। আমাদের অন্ধ সময়ের এই ধারাবাহিক আখ্যান কোথাও থামে না। আর থামে না বলেই অর্জুন বন্দ্যোপাধ্যায়ের তো লেখকেরা জরুরি হয়ে ওঠেন আজকের পাঠকের কাছে।
Additional information
Weight | 0.35 kg |
---|---|
Dimensions | 8 × 5 × 0.25 in |
Author | |
Edition | |
ISBN | |
Language | |
Page Count | |
Publisher | Shambhabi – The Third Eye Imprint |
Release Date | 22 September, 2018 |
Satyaban Roy –
A conscious shift from the concept of conventional thriller on the part of the author Arjun Bandopadhyay, certainly Moron-Antorale in its shape of novella creates a parallel lane, narrow but subtle. That we are always conceiving a killer within ourselves and discovering a detective within, provides a deeply rooted human attribute while using the format of absurd drama. Its prose-style, merited use of quotes deserve the reader’s attention. Although, I am not sure whether the sharp-edged slangs and portrayal of violent sexual acts were unavoidable in the pursuit of communicating many of the constructs (I have felt the same while going through the similar constructs in some of the fictions of Subimal Misra, Ajit Roy, et al). Whatsoever, I attach the book to the select place of my shelf.