Sethai Charan Pare Tomar

(4 customer reviews)

500.00

“অনেক, অনেক দিন আগের কথা। প্রায় পাঁচশো বছর হতে চলল বইকী! শ্রীচৈতন্যের নেতৃত্বে বাংলায় ভক্তি আন্দোলনের ভরা জোয়ার। আন্দোলনের ঢেউ ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ল গোটা ভারতে। চৈতন্যকে গৌড়িয় বৈষ্ণব সাধকরা অবতার আখ্যা দিলেন। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে অখণ্ড ভারতকে যিনি হরেকৃষ্ণ নামে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করেছিলেন, সেই মহামানবের আপাত দৃশ্যমান অবয়বের ভেতরে লুকিয়ে থাকা আসল মানুষটি আসলে কে ছিলেন? কী ছিল তাঁর উদ্দেশ্য? শুধুই কি আধ্যাত্মিক মতবাদের প্রচার না, অন্য কোনো উদ্দেশে নদের নিমাই উড়িষ্যায় আশ্রয় নিয়েছিলেন? কেন তিনি ছুটে বেড়িয়েছেন দেশের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে? অনেকে নিমাইকে হোসেন শাহের চর আখ্যা দিয়েছেন। তিনি কি সত্যিই তাই ছিলেন নাকি গোটা ভারতের হিন্দু রাজাদের ঐক্যবদ্ধ করার জন্য ভারতের প্রথম রাজনৈতিক সন্ন্যাসী নিমাই গৃহত্যাগ করেছিলেন? তারপর পুরীতে দীর্ঘ ২৪ বছর বসবাসের পর হঠাৎ তার অন্তর্ধান। কী হয়েছিল সেদিন পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের গর্ভগৃহে? হত্যা না অন্য কিছু? এসব প্রশ্নের উওর খুঁজে দেখার চেষ্টা এই উপন্যাসে। পাশাপাশি উঠে এসেছে চৈতন্যের বড়োদাদা বিশ্বরূপের অন্তর্ধানের ঘটনা, পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের ইতিহাস, বৈষ্ণব এবং বৌদ্ধতন্ত্র সহ আরও অনেক কিছু।”

In stock

Categories: , Tag:
Share this

Additional information

Weight 1.5 kg
Dimensions 8.5 × 5.5 × 1.5 in
Author

Binding

Edition

ISBN

Language

Release Date

20 August 2020

Page Count

Publisher

Hawakal Publishers

Publish Date

4 reviews for Sethai Charan Pare Tomar

  1. Shyam Sundar Adhikari

    (5) (0)
  2. Surojit Banerjee

    (4) (0)
  3. Abhijit Das

    অসাধারন লেখনী।।

    (3) (0)
  4. Sandip Mukherjee

    জন্ম : ১৮ ফেব্রুয়ারি, ১৪৮৬
    মৃত্যু: ১৪ জুন, ১৫৩৪

    যত সহজে জন্ম সাল লেখা যাচ্ছে, ততটাই সহজে কি মৃত্যু সাল এবং তারিখ লেখা যায়? আজ থেকে প্রায় ৫০০ বছর আগে যে মহামানব পা রেখেছিলেন ধরাধামে, তাঁর মৃত্যু নিয়ে আজও কাটেনি ধোঁয়াশা। বেশ কিছু ধারণা তৈরি হয়েছে মৃত্যু নিয়ে।

    ” তিনি পুরী মন্দিরের গর্ভগৃহে জগন্নাথ দেবের মূর্তির মধ্যে বিলীন হয়ে গেছিলেন” অথবা ” তিনি সমুদ্রের দিকে হাঁটতে হাঁটতে মিশে গিয়েছিলেন সমুদ্র মধ্যে” অথবা ” তিনি খালি পা এ চলতে চলতে চোট পান এবং পরবর্তী সময় এ বিষক্রিয়া হয়ে মারা যান”। কিন্তু এই সব কিছু ছাপিয়ে যা সব চাইতে তীব্র আকারে উচ্চারিত হয়, তা হলো, ” চৈতন্য দেব কে জগন্নাথ মন্দিরের ভেতর হত্যা করা হয় এবং তাঁর দেহ সরিয়ে ফেলা হয়” ।

    কিছুদিন আগে ফেসবুক মাধ্যমে ” সেথায় চরণ পড়ে তোমার” বইটির কথা জানতে পারি। লেখিকা দেবশ্রী চক্রবর্তী আমার ফেসবুক পরিচিত। চৈতন্য দেব এর মত একজন তোলপাড় করে দেওয়া মানুষ কে নিয়ে জানার আগ্রহ অসীম আমার। সেই উৎসাহ থেকেই বইটি সংগ্রহ করি খুব দ্রুততার সাথে। তিনশো পাতার বই। বিশ্বাস করুন আমি দিন চারেক এ শেষ করে ফেললাম বইটি।

    এক কথায় অসাধারণ দলিল। ভয়ানক সাহসী পদক্ষেপ। চৈতন্য কে নিয়ে বহু গবেষক বহু কাজ করছেন, এই বই পড়ে জানতে পারি তাঁদের মধ্যে এক দুজনের করুণ পরিণতির কথা। দেবশ্রী দেবী ভয়ংকর পড়াশুনো করে লিখেছেন বইটি। বইটির মূল উদ্দেশ্য মহাপ্রভুর মৃত্যুর সম্ভাব্য কারণ খুঁজে বের করা। সবচেয়ে ভালো লাগার দিক হলো, গোয়েন্দা ঠিক যে রকম ভাবে অনেক সন্দেহের তালিকা থেকে বাদ দিতে দিতে মূল অপরাধী কে কেনো দোষী সাব্যস্ত করলেন তার বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়ে থাকেন, এখানেও লেখিকা ঠিক বহু প্রচলিত মৃত্যুর কারণ গুলো কে eliminate করতে করতে ঠিক আসল কারণ কি হতে পারে তার বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন।

    সময় সবার কম। তাও এখনো বহু মানুষ আছেন যারা বই পড়তে ভালোবাসেন। যদি সম্ভব হয় বই টি পড়ুন, পড়ান। ভীষন ভালো লাগবে। অনেক টা রহস্য উপন্যাস এর মতন। শুরু করলে ছাড়তে পারবেন না।

    যেদিন মহাপ্রভু শেষ বারের মতো পুরী মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রবেশ করলেন সেদিন সময় ছিল বিকেল চারটে। সেদিন কোনো এক অজ্ঞাত কারণে গর্ভগৃহে প্রবেশের দরজা রাত্রি ১১ টা অবধি বন্ধ ছিল। কেনো?

    (2) (0)
Add a review

Your email address will not be published. Required fields are marked *